মেদ ঝরানো থেকে শুরু করে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা—এই ৩টে জিনিস সঙ্গে রাখুন
ওজন কমানো : মাল্টিভিটামিনের মধ্যে ভিটামিন সি, বি১২ ও ভিটামিন ডি রয়েছে, যা পেশিতন্তু গঠনে ও পেশির বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। জিমে গিয়ে কসরত করার ফলে পেশির যে ক্ষয় হয়, সেটাও পুনরুদ্ধার করে মাল্টিভিটামিন। এই ভিটামিনগুলো বিপাকীয় হার বৃদ্ধি করে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
ভিটামিনের কাজ : দেহের শারীরবৃত্তীয় কাজ যাতে সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয়, তার জন্য ভিটামিন ও মিনারেল অপরিহার্য। সাধারণত শাকসবজি, ফল, মাছ, মাংস, ডিম ও দানাশস্য থেকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেল পাওয়া যায়। কিন্তু সবসময় এই সব ধরনের খাবার একসঙ্গে খাওয়া সম্ভব হয় না। তখনই দেহে পুষ্টির ঘাটতি তৈরি হতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি মাল্টিভিটামিন বা পরিপূরক গ্রহণ করতে পারেন।
শরীরচর্চায় মাল্টিভিটামিনের ভূমিকা
আপনি যদি নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, জিমে যান, সেক্ষেত্রে মাল্টিভিটামিন গ্রহণ করলে অন্যদের তুলনায় বেশি উপকার পাবেন। এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা শরীরকে ফিট রাখার জন্য, বডি ব্লিডিংয়ের জন্য, কার্ডিওভাস্কুলার স্বাস্থ্য উন্নত করার জন্য জিমে যান। সেক্ষেত্রে ভিটামিন ও মিনারেলের প্রয়োজনীয়তা বেশি। বিশেষ করে আয়রন বা প্রোটিনের মতো পুষ্টি দরকার পড়ে। এক্ষেত্রে মাল্টিভিটামিন ট্যাবলেট আপনার দৈনিক ভিটামিনের চাহিদার ১০০% পূরণ করতে পারে। শরীরচর্চা শুরু করার আগে বা পরে মাল্টিভিটামিন খেলে ভাল ফল পাবেন।
জীবনধারায় যে সব পরিবর্তন এনে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াবেন-
স্বাস্থ্যকর এবং সুষম খাদ্য খাওয়া: পুষ্টিকর খাবার দেহের স্বাভাবিক ওজন বজায় রাখতে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। আর ডায়াবেটিস টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমিয়ে দেয়।
নিয়মিত শরীরচর্চা করুন: অ্যারোবিক এবং অ্যানেরোবিক ব্যায়াম শরীরকে ফিট রাখে। পাশাপাশি ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় এবং টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।
ধূমপান ও মদ্যপান এড়িয়ে চলুন: দেহে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বজায় রাখতে চাইলে ধূমপান ও মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন। এই বদঅভ্যাস টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমিয়ে দেয়।
ওপিওড এড়ানো: অপিওডস, যেমন মরফিন টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমিয়ে দেয়। এই অভ্যাস থাকলে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলুন।
ফ্যাট দরকার কিন্তু অতিরিক্ত নয়
সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা জন্য ফ্যাট বা চর্বি দরকার। শরীরের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ফ্যাট ক্যালোরি আকারে প্রয়োজনীয় এনার্জির জোগান দেয়। ফ্যাট শরীরকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ চর্বি-দ্রবণীয় ভিটামিন শোষণে সাহায্য করে যেমন ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে। কিন্তু প্রয়োজনের বেশি ফ্যাট দেহে রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। ডেকে আনে কার্ডিওভাস্কুলার রোগ।
ফ্যাট ঝরানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায় হয়, প্রতিদিন যে পরিমাণ ক্যালোরি পোড়াতে পারবেন, তার চেয়ে কম ক্যালোরি গ্রহণ করা। এতে শরীরে ক্যালোরির ঘাটতি তৈরি হয়। এর জেরে দেহের অতিরিক্ত চর্বি বার্ন হয় এবং মেদ ঝরে।
ফ্যাট গলানোর আরেকটি উল্লেখযোগ্য উপায় হল, কার্ডিওভ্যাস্কুলার ওয়ার্কআউট- যার মধ্যে রয়েছে হাঁটা, দৌড়ানো ও সাইকেল চালানোর কাজ। এসব কাজ আপনার বিপাকক্রিয়া হার বাড়িয়ে ফ্যাট গলাতে সাহায্য করে।
যখন কিছুতেই কমছে না ফ্যাট-
হাজার ওয়ার্কআউট করে, ডায়েট মেনে খাবার খেয়েও অনেক সময় ফ্যাট ঝরতে চায় না। তখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে ফ্যাট বার্নার। এতে ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার, ক্যাফেইন ও ভেষজ উপাদান রয়েছে। ফ্যাট বার্নার তিনভাবে মেদ গলিয়ে ওজন ঝরাতে সাহায্য করে- বিপাক হার বৃদ্ধি করে, শরীর যে ফ্যাট শোষণ করে তার পরিমাণ কমায়, খিদে কমায়।
ফ্যাট বার্নারগুলি সাপ্লিমেন্ট হিসাবে বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে আপনি সহজেই ওজন কমাতে পারে এবং স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হয়।
চর্বিহীন, পেশিযুক্ত, ছিপছিপে শরীর আপনাকে যে শুধু সুন্দর চেহারা দেয়, তা নয়। এগুলো আপনাকে সুস্থভাবে জীবনযাপনেও সহায়তা করে। অতিরিক্ত ফ্যাট ও ওজন হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং অন্যান্য ক্রনিক অসুখের সম্ভাবনা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। ওজন হ্রাস, বিশেষত পেটের ও শরীরের চর্বি গলানো, রক্তনালিগুলির কার্যকারিতা এবং ঘুমের মান উন্নত করে।