কম্পিউটারে ভাইরাস ঢুকেছে, কী করবো?/ কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ / computer virus infection

আমাদের ওয়েবসাইট "All Tech News BD" তে আপনাকে স্বাগতম জানাই ।  কম্পিউটারে ভাইরাসঢোকার বিভিন্ন পদ্ধতি থাকতে পারে আমাদের আজকের বিষয়টি হচ্ছে কম্পিউটারে ভাইরাস ঢুকেছে, কী করবো?/ কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ

কম্পিউটারে ভাইরাস ঢুকে গেলে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ভাইরাস আপনার ডেটা এবং সিস্টেমকে ক্ষতি করতে পারে। এখানে কিছু পদক্ষেপ উল্লেখ করা হলো যা আপনি অনুসরণ করতে পারেন:

১. অপারেটিং সিস্টেম এবং অ্যাপ্লিকেশন আপডেট করুন

  • সিস্টেম আপডেট: আপনার অপারেটিং সিস্টেম এবং সমস্ত সফটওয়্যার আপডেট করুন। আপডেটগুলি সাধারণত নিরাপত্তা প্যাচ এবং বাগ ফিক্স নিয়ে আসে যা ভাইরাসের আক্রমণ প্রতিরোধ করতে সহায়ক।

২. অ্যান্টিভাইরাস চালান

  • আপডেট করুন: আপনার অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারটি আপডেট করুন, যাতে এটি নতুন ধরনের ভাইরাস চিনতে পারে।
  • স্ক্যান করুন: সম্পূর্ণ সিস্টেম স্ক্যান চালান। এটি ভাইরাস এবং ম্যালওয়্যার সনাক্ত করতে সহায়ক।

৩. নিরাপত্তা মোডে বুট করুন

  • সেফ মোডে বুট: কম্পিউটারকে সেফ মোডে বুট করুন (Windows: Restart > Press F8 or Shift+F8 > Safe Mode; macOS: Restart > Hold Shift Key). সেফ মোডে চলাকালীন ভাইরাসগুলির অধিকাংশই চলতে পারে না, তাই আপনি ভাইরাস মুছে ফেলতে সহজে কাজ করতে পারবেন।

৪. ভাইরাস ম্যানুয়ালি মুছে ফেলুন

  • সিস্টেম ফাইল এবং প্রোগ্রাম চেক করুন: অস্বাভাবিক ফাইল বা প্রোগ্রাম চিহ্নিত করুন এবং মুছে ফেলুন। তবে, এটি সাবধানে করা উচিত, কারণ ভুলভাবে মুছে ফেললে সিস্টেমে সমস্যা হতে পারে।

৫. ডেটা ব্যাকআপ নিন

  • ডেটা ব্যাকআপ: যদি সম্ভব হয়, আপনার গুরুত্বপূর্ণ ফাইল এবং ডেটা ব্যাকআপ করুন। এটি আপনার ডেটা সংরক্ষণ করতে সাহায্য করবে যদি ভাইরাস কোনো ক্ষতি করে।

৬. ওয়েব ব্রাউজার কুকি এবং ক্যাশ ক্লিয়ার করুন

  • কুকি এবং ক্যাশ: আপনার ওয়েব ব্রাউজারের কুকি এবং ক্যাশ ক্লিয়ার করুন, কারণ কিছু ভাইরাস ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমে ছড়াতে পারে।

৭. ফ্যাক্টরি রিসেট (যদি প্রয়োজন হয়)

  • ফ্যাক্টরি রিসেট: যদি ভাইরাস অনেক বেশি ছড়িয়ে পড়ে এবং অন্যান্য পদক্ষেপগুলি কার্যকর না হয়, তবে আপনার কম্পিউটারকে ফ্যাক্টরি রিসেট করতে হতে পারে। এটি আপনার সিস্টেমকে শুরু থেকে পুনরায় ইনস্টল করবে, তবে সমস্ত ডেটা মুছে যাবে, তাই প্রথমে ব্যাকআপ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

৮. পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন

  • পাসওয়ার্ড আপডেট: আপনার কম্পিউটার এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অ্যাকাউন্টগুলির পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন। ভাইরাস আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে।

৯. বিভিন্ন এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করুন

  • বিভিন্ন স্ক্যানার: কখনও কখনও একমাত্র অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার সমস্ত ভাইরাস সনাক্ত করতে পারে না। অতিরিক্ত অ্যান্টিভাইরাস বা ম্যালওয়্যার রিমুভার সফটওয়্যার ব্যবহার করে চেক করুন।

১০. পেশাদার সহায়তা গ্রহণ করুন

  • প্রযুক্তিগত সহায়তা: যদি ভাইরাস সাফ করার জন্য আপনার ক্ষমতা শেষ হয়ে যায় বা আপনি সন্দিহান হন, একটি প্রযুক্তিগত সহায়তা বা সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে যান।

প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা

  • অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার: সর্বদা আপডেট থাকা অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করুন।
  • সতর্কতা অবলম্বন করুন: সন্দেহজনক ইমেইল বা লিংক ক্লিক করা থেকে বিরত থাকুন এবং নিরাপদ ওয়েবসাইট ব্যবহার করুন।
  • ফায়ারওয়াল: একটি শক্তিশালী ফায়ারওয়াল চালু রাখুন।

এই পদক্ষেপগুলি আপনাকে ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় সহায়ক হতে পারে। তবে, নিরাপত্তার জন্য নিয়মিত সতর্ক থাকা ও সঠিক সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ। 

কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ

কম্পিউটার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে কিছু সাধারণ লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এই লক্ষণগুলি দেখতে পেলে আপনাকে সতর্ক হতে হবে এবং যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। এখানে কিছু সাধারণ লক্ষণ উল্লেখ করা হলো:

১. কম্পিউটার ধীরগতির হওয়া

  • ব্লুটিং বা অ্যাপ্লিকেশন লোডিংয়ে দেরি: কম্পিউটার ধীরগতির হয়ে যেতে পারে এবং প্রোগ্রামগুলির লোডিং সময় বাড়তে পারে।
  • সিস্টেম ফ্রিজিং: মাঝেমধ্যেই কম্পিউটার ফ্রিজ বা অচল হয়ে যেতে পারে।

২. অস্বাভাবিক পপ-আপ বা বিজ্ঞাপন

  • অতিরিক্ত বিজ্ঞাপন: অসাধারণ বা অতিরিক্ত পপ-আপ উইন্ডো বা বিজ্ঞাপন দেখা যেতে পারে, বিশেষ করে যখন আপনি ব্রাউজার ব্যবহার করছেন।

৩. ফাইল বা ডেটা পরিবর্তন

  • ফাইল হারানো বা পরিবর্তন: গুরুত্বপূর্ণ ফাইল হারানো, স্থানান্তরিত হওয়া বা অপরিচিত ফাইল তৈরি হওয়া।
  • ফাইল এক্সটেনশন পরিবর্তন: কিছু ভাইরাস ফাইলের এক্সটেনশন পরিবর্তন করে, যেমন .docx থেকে .encrypted

৪. অ্যাপ্লিকেশন ক্র্যাশ বা অকার্যকর হওয়া

  • অ্যাপ্লিকেশন ব্যর্থতা: প্রোগ্রামগুলি ক্র্যাশ বা সঠিকভাবে কাজ না করার লক্ষণ।
  • অ্যাপ্লিকেশন অকার্যকর হওয়া: কিছু অ্যাপ্লিকেশন খুলতে সমস্যা হতে পারে।

৫. অস্বাভাবিক হার্ডডিস্ক কার্যকলাপ

  • অতিরিক্ত ডিস্ক ব্যবহারের সত্ত্বেও: হার্ডডিস্ক অতিরিক্ত কাজ করছে, কিন্তু কোনো দৃশ্যমান কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না।

৬. ব্রাউজার অস্বাভাবিক আচরণ

  • অচেনা টুলবার বা এক্সটেনশন: ব্রাউজারে নতুন বা অচেনা টুলবার বা এক্সটেনশন ইনস্টল হওয়া।
  • ওয়েবসাইট রিডিরেকশন: স্বাভাবিকভাবে ব্যবহার করার সময় ওয়েবসাইট স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিবর্তিত হওয়া।

৭. এন্টিভাইরাস এবং সিস্টেম সেটিংস পরিবর্তন

  • এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার নিষ্ক্রিয়করণ: আপনার অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার অকার্যকর বা নিষ্ক্রিয় হয়ে যেতে পারে।
  • সিস্টেম সেটিংস পরিবর্তন: আপনার সিস্টেম সেটিংসে অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখা যেতে পারে।

৮. নেটওয়ার্ক সমস্যা

  • অস্বাভাবিক নেটওয়ার্ক ট্রাফিক: নেটওয়ার্কের গতির হঠাৎ পরিবর্তন বা অতিরিক্ত ডেটা ব্যবহারের লক্ষণ।

৯. সিস্টেম বা ব্রাউজার পপ-আপ ম্যাসেজ

  • ভুয়া সতর্কবার্তা: ফাঁদে ফেলার মতো সতর্কবার্তা বা বিজ্ঞাপন দেখানো, যা সাধারণত ভাইরাসের লক্ষণ হতে পারে।

১০. কম্পিউটারে অস্বাভাবিক গন্ধ বা তাপ

  • অতিরিক্ত তাপ: কম্পিউটার অতিরিক্ত গরম হতে পারে, যা ভাইরাসের কারণে হার্ডওয়্যারের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।

যদি আপনি কোন এক বা একাধিক লক্ষণ অনুভব করেন:

  1. অ্যান্টিভাইরাস স্ক্যান করুন: একটি সম্পূর্ণ সিস্টেম স্ক্যান চালান।
  2. নিরাপত্তা আপডেট করুন: অপারেটিং সিস্টেম এবং সফটওয়্যার আপডেট করুন।
  3. অপটিমাইজ করুন: আপনার সিস্টেমের অপ্রয়োজনীয় ফাইল মুছে ফেলুন এবং সিস্টেম অপটিমাইজ করুন।
  4. প্রফেশনাল সাহায্য নিন: যদি সমস্যার সমাধান না হয়, তবে একটি প্রযুক্তিগত সহায়তা বা সার্ভিস সেন্টারের সাহায্য নিন।

এই লক্ষণগুলি শনাক্ত করা আপনাকে আপনার কম্পিউটার সুরক্ষিত রাখতে সহায়ক হতে পারে। নিয়মিত সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং সতর্কতার মাধ্যমে ভাইরাসের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। 

কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার কারণ

কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার বেশ কিছু সাধারণ কারণ রয়েছে। এই কারণগুলো বোঝা হলে আপনি সঠিকভাবে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন। নিচে কিছু প্রধান কারণ উল্লেখ করা হলো:

১. অননুমোদিত সফটওয়্যার এবং অ্যাপ্লিকেশন

  • পাইরেটেড বা ক্র্যাকড সফটওয়্যার: ক্র্যাকড বা পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহারের ফলে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
  • অচেনা বা সন্দেহজনক অ্যাপ্লিকেশন: কোনো অজানা উৎস থেকে সফটওয়্যার ডাউনলোড করা।

২. ইমেইল অ্যাটাচমেন্ট এবং লিঙ্ক

  • ফিশিং ইমেইল: সন্দেহজনক ইমেইল বা ফিশিং স্ক্যাম থেকে ভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে।
  • অবিশ্বাস্য অ্যাটাচমেন্ট: অচেনা বা অস্বাভাবিক অ্যাটাচমেন্ট খুললে ভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে।

৩. অপ্রচলিত সফটওয়্যার বা অপারেটিং সিস্টেম

  • নিরাপত্তা আপডেটের অভাব: অপারেটিং সিস্টেম এবং সফটওয়্যার নিয়মিত আপডেট না করলে নিরাপত্তার ঘাটতি সৃষ্টি হতে পারে।

৪. অন্যের ডিভাইসের সাথে সংযোগ

  • USB ড্রাইভ এবং অন্যান্য পোর্টেবল ডিভাইস: ইনফেক্টেড USB ড্রাইভ বা অন্য কোনো পোর্টেবল ডিভাইস সংযুক্ত করলে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে।

৫. ওয়েবসাইট এবং ব্রাউজার নিরাপত্তার অভাব

  • অসতর্ক ব্রাউজিং: সন্দেহজনক বা অনিরাপদ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে।
  • অবৈধ বা সন্দেহজনক ডাউনলোড: নিরাপদ নয় এমন ওয়েবসাইট থেকে সফটওয়্যার বা ফাইল ডাউনলোড করা।

৬. নিরাপত্তা সফটওয়্যার বা ফায়ারওয়াল ছাড়াই সিস্টেম ব্যবহার

  • এন্টিভাইরাসের অভাব: কোনো এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইনস্টল না করা বা আপডেট না করা।

৭. সামাজিক প্রকরণ এবং ওয়েবফর্ম

  • সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং: ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার ইনস্টল করার জন্য সামাজিক প্রকরণ ব্যবহার করা।
  • ভুয়া ওয়েবফর্ম: ভুয়া ওয়েবফর্মে তথ্য প্রদান করা।

৮. নেটওয়ার্ক নিরাপত্তা দুর্বলতা

  • অরক্ষিত Wi-Fi নেটওয়ার্ক: অরক্ষিত বা পাবলিক Wi-Fi নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা।
  • নেটওয়ার্ক প্রবাহের দুর্বলতা: নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি ফায়ারওয়াল বা এনক্রিপশন এর অভাব।

৯. ডেটা ভাগাভাগি এবং পার্টিশন

  • ভাইরাস বহনকারী ফাইল: ফাইল শেয়ারিং সিস্টেমের মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমিত হওয়া।

১০. ব্যবহারকারী ভুল

  • অবহেলা: নিরাপত্তার জন্য সর্তকতা অবলম্বন না করা, যেমন লিংক ক্লিক করা যা সন্দেহজনক বা অজানা উৎস থেকে এসেছে।

প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা

  1. নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট: আপনার অপারেটিং সিস্টেম এবং সফটওয়্যার নিয়মিত আপডেট করুন।
  2. বিশ্বাসযোগ্য অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করুন: আপডেট থাকা অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করুন এবং নিয়মিত স্ক্যান করুন।
  3. সতর্ক ব্রাউজিং: নিরাপদ ওয়েবসাইট ব্যবহার করুন এবং সন্দেহজনক লিঙ্ক ক্লিক না করার চেষ্টা করুন।
  4. সন্দেহজনক ইমেইল এবং অ্যাটাচমেন্ট এড়িয়ে চলুন: অচেনা ইমেইল বা অ্যাটাচমেন্ট খুলবেন না।
  5. নিরাপত্তা সেটিংস সক্রিয় করুন: ফায়ারওয়াল এবং অন্যান্য নিরাপত্তা সফটওয়্যার সক্রিয় রাখুন।

এই পদক্ষেপগুলি আপনাকে কম্পিউটার ভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে।

১০ টি কম্পিউটার ভাইরাসের নাম

কম্পিউটার ভাইরাসের বিভিন্ন প্রকার ও নাম রয়েছে। এখানে ১০টি পরিচিত কম্পিউটার ভাইরাসের নাম উল্লেখ করা হলো:

১. ILOVEYOU

  • বর্ণনা: ২০০০ সালে সৃষ্ট এই ভাইরাসটি ইমেইল দ্বারা ছড়িয়ে পড়ে এবং "I LOVE YOU" শিরোনামে একটি ইমেইল সংযুক্ত থাকে। এটি ফাইল এবং ডেটা মুছে ফেলতে পারে এবং নতুন ইমেইল প্রেরণ করতে পারে।

২. Melissa

  • বর্ণনা: ১৯৯৯ সালে আবিষ্কৃত, Melissa ভাইরাসটি একটি মাইক্রোসফট আউটলুক ইমেইল সংযুক্তি হিসেবে ছড়ায় এবং ইমেইল ঠিকানার তালিকা থেকে ভাইরাস সংক্রমিত ইমেইল প্রেরণ করে।

৩. Sasser

  • বর্ণনা: ২০০৪ সালে সৃষ্ট এই ভাইরাসটি উইন্ডোজ সিস্টেমে নির্দিষ্ট নিরাপত্তা দুর্বলতার সুযোগ গ্রহণ করে। এটি কম্পিউটারকে রিস্টার্ট করতে বাধ্য করে এবং নেটওয়ার্কে ছড়িয়ে পড়ে।

৪. Conficker

  • বর্ণনা: ২০০৮ সালে আবিষ্কৃত, Conficker ভাইরাসটি একটি "ওয়ার্ম" যা উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের দুর্বলতাকে লক্ষ্য করে। এটি কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করতে পারে এবং নেটওয়ার্কে ছড়িয়ে পড়ে।

৫. Mydoom

  • বর্ণনা: ২০০৪ সালে আবিষ্কৃত, Mydoom একটি ইমেইল ওয়ার্ম যা কম্পিউটারে প্রবেশ করে এবং স্প্যাম ইমেইল পাঠায়। এটি সিস্টেমের নিরাপত্তা এবং কর্মক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

৬. Stuxnet

  • বর্ণনা: ২০১০ সালে আবিষ্কৃত, Stuxnet একটি অত্যাধুনিক ভাইরাস যা ইরানের নিউক্লিয়ার ফ্যাসিলিটিতে সেন্ট্রিফিউজগুলিকে ধ্বংস করতে ডিজাইন করা হয়েছিল। এটি একটি শিল্প নিয়ন্ত্রণ সিস্টেমে প্রবেশ করে।

৭. Zeus (Zbot)

  • বর্ণনা: Zeus একটি ট্রোজান ভাইরাস যা ব্যবহারকারীর ব্যাঙ্কিং তথ্য চুরি করতে ডিজাইন করা হয়েছে। এটি বিভিন্ন সিস্টেমে প্রবেশ করে এবং সংবেদনশীল তথ্য চুরি করে।

৮. CryptoLocker

  • বর্ণনা: ২০১৩ সালে আবিষ্কৃত, CryptoLocker একটি র‌্যানসমওয়্যার যা কম্পিউটারের ফাইল এনক্রিপ্ট করে এবং তাদের মুক্তির জন্য মুক্তিপণ দাবি করে।

৯. WannaCry

  • বর্ণনা: ২০১৭ সালে ছড়িয়ে পড়া WannaCry র‌্যানসমওয়্যার বিশ্বব্যাপী সংক্রমিত হয় এবং উইন্ডোজ সিস্টেমের ফাইল এনক্রিপ্ট করে মুক্তিপণ দাবি করে।

১০. Blaster (MSBlast)

  • বর্ণনা: ২০০৩ সালে আবিষ্কৃত, Blaster একটি ওয়ার্ম যা উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের একটি নিরাপত্তা দুর্বলতাকে লক্ষ্য করে। এটি সিস্টেমকে ক্র্যাশ করতে পারে এবং রিস্টার্ট করতে বাধ্য করে।

এই ভাইরাসগুলি বিভিন্ন প্রকারের ক্ষতি করতে পারে, যেমন ডেটা চুরি, সিস্টেম ক্র্যাশ, এবং র‌্যানসমওয়্যার আক্রমণ। সঠিক সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং নিয়মিত আপডেটের মাধ্যমে এসব ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। 

আমরা আশা করি যে এই নিবন্ধটি থেকে আপনি কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ ও কারণ  সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য পেয়েছেন। এই তথ্য আপনার বন্ধুদের সাথে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন যাতে আরও বেশি কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ ও কারণ তথ্য জানতে পারে। এই ধরনের আরো আপডেটেড তথ্য পেতে alltechnewsbd.com এর সাথে যুক্ত থাকুন।

Next Post Previous Post